Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2022

সূরা আন নাসরের তাফসীর

 সূরা আন নাসরের তাফসীরঃ  নামকরণ ও গুরুত্ব: النصر শব্দের অর্থ সাহায্য, সহযোগিতা। এ শব্দটি প্রথম আয়াতেই এসেছে, সেখান থেকেই উক্ত নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। এ সূরার অপর নাম সূরাতুত তাওদী বা বিদায়ের সূরা। এ সূরাতে নাবী (সাঃ)-এর ওফাত নিকটবর্তী হওয়ার ইঙ্গিত করা হয়েছে বিধায় এর নাম সূরাতুত্ তাওদী করা হয়েছে। (তাফসীর মারেফুল কুরআন)। এ সূরাটি অবতীর্ণের দিক দিয়ে সর্বশেষ অবতীর্ণ সূরা। (ফাতহুল বারী ৮/৬০৫, সহীহ মুসলিম হা. ৩০২৪) ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : আইয়ামে তাশরীক (১১, ১২, ১৩ই যিলহাজ্জের) মাঝামাঝি দিনে মিনায় এ সূরাটি অবতীর্ণ হয়। তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিদায় হাজ্জে ছিলেন। সূরাটি শেষ পর্যন্ত পড়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বুঝতে পারলেন যে, এটাই তাঁর শেষ হাজ্জ, অতঃপর তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রসিদ্ধ ভাষণটি প্রদান করেন। (ইমাম বায়হাকী তার দালায়েল গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন হা. ৯৪৬৪) আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন : (إِذَا جَا۬ءَ نَصْرُ اللّٰهِ وَالْفَتْحُ) সূরাটি অবতীর্ণ হওয়ার পর নাবী (সাঃ) যে সালাতই আদায় করতেন তাতে سبحانك ربنا وبحمدك اللهم اغفرلي -পাঠ করতেন। (সহীহ বুখারী, হা. ৪৯৬৭, ...

সূরা ফালাকের তাফসীর

 সূরা ফালাকের তাফসীরঃ নামকরণ: সূরা ফালাক ও সূরা নাস উভয় সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত শব্দ থেকে। ফালাক (الفلق) শব্দের অর্থ : প্রভাতকাল। আর নাস (النَّاس) অর্থ : মানুষ। এ দুই সূরাকে একত্রে معوذتان বা আশ্রয় প্রার্থনা করার দুই সূরা বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জাদুগ্রস্থ হওয়ার পর এ সূরাদ্বয় দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হলে আল্লাহ তা‘আলার রহমতে তিনি সুস্থ হন, তাই এ নামেও এ সূরাদ্বয় পরিচিত। শানে নুযূল: মা আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, মদীনার ইয়াহূদী গোত্র বনু যুরাইকের মিত্র লাবীদ বিন আসাম নামক জনৈক মুনাফিক তার মেয়েকে দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাথার ছিন্নচুল ও চিরুনীর ছিন্ন দাঁত চুরি করে এনে তাতে জাদু করে এবং মন্ত্র পাঠ করে চুলে ১১টি গিরা দেয়। এর প্রভাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কোন কাজ করলে ভুলে যেতেন ও ভাবতেন যে করেননি। অন্য বর্ণনা মতে ৪০ দিন বা ৬ মাস এভাবে থাকেন। এক রাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বপ্নে দেখেন যে, দু’জন লোক এসে একজন তাঁর মাথার কাছে অন্যজন পায়ের কাছে বসে। অতঃপর তারা বলে যে, বনু যুরাইকের খেজুর বাগানে যারওয়ান কূয়ার তলদেশে পাথরের নীচে চাপা দেয়া খেজুরের কাঁদির শুকনো খোস...

সূরা আল ইখলাসের তাফসীর

 সূরা আল ইখলাসের তাফসীরঃ নামকরণ: পবিত্র কুরআনুল কারীমের মাত্র দুটি সূরা যে সূরা দুটির নামকরণ সূরায় উল্লিখিত শব্দ বা সূরায় বর্ণিত ঘটনা থেকে করা হয়নি। বরং নামকরণ করা হয়েছে সূরার মুখ্য উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। একটি হলো সূরা ফাতিহা আর দ্বিতীয়টি হলো সূরা ইখলাস। অত্র সূরায় একজন সত্যিকার মা‘বূদের পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে। الإخلَاص শব্দের অর্থ : একনিষ্ঠভাবে কোন কিছু করা। যেমন বলা হয় : أخلص لله عمله সে একনিষ্ঠ ভাবে আল্লাহ তা‘আলার জন্যই তার আমলকে সম্পাদন করেছে। সূরাতে যেহেতু আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় ও তাওহীদ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তাই إخلَاص নামে সূরার নামকরণ করা হয়েছে। ফযীলত: সূরাটি আকারে ছোট হলেও ফযীলতের দিক দিয়ে অনেক বড়। আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন : রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সাহাবীদের বললেন : তোমাদের কেউ কি রাতে কুরআনের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করতে অপারগ হবে? এটা তাদের জন্য কষ্ট কর হয়ে গেল। তারা বলল : হে আল্লাহ তা‘আলার রাসূল (সাঃ)! আমাদের কে এরূপ করতে সক্ষম হবে? তখন রাসূল (সাঃ) বললেন : (قُلْ هُوَ اللّٰهُ أَحَدٌ) সূরাটি কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য। (সহীহ বুখারী হা. ৫০১...

সূরা নাসের তাফসির

  সুরা নাসের তাফসিরঃ (১)  নামকরণ (২) শানে নুযূল: (৩) গুরুত্ব: (৪) ফযীলত: (৫)  তাফসীর: (৬) আয়াত হতে শিক্ষণীয় বিষয়: নামকরণ  সূরা নাস সূরা সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত শব্দ থেকে।নাস (النَّاس) অর্থ : মানুষ। এ দুই সূরাকে একত্রে معوذتان বা আশ্রয় প্রার্থনা করার দুই সূরা বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জাদুগ্রস্থ হওয়ার পর এ সূরাদ্বয় দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হলে আল্লাহ তা‘আলার রহমতে তিনি সুস্থ হন, তাই এ নামেও এ সূরাদ্বয় পরিচিত। শানে নুযূল: মা আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, মদীনার ইয়াহূদী গোত্র বনু যুরাইকের মিত্র লাবীদ বিন আসাম নামক জনৈক মুনাফিক তার মেয়েকে দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাথার ছিন্নচুল ও চিরুনীর ছিন্ন দাঁত চুরি করে এনে তাতে জাদু করে এবং মন্ত্র পাঠ করে চুলে ১১টি গিরা দেয়। এর প্রভাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কোন কাজ করলে ভুলে যেতেন ও ভাবতেন যে করেননি। অন্য বর্ণনা মতে ৪০ দিন বা ৬ মাস এভাবে থাকেন। এক রাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বপ্নে দেখেন যে, দু’জন লোক এসে একজন তাঁর মাথার কাছে অন্যজন পায়ের কাছে বসে। অতঃপর তারা বলে যে, বনু যুরাইকের খেজুর বাগানে যারওয়ান কূয়ার তলদেশে ...

ফরিদ আলী ছিলেন একজন বাংলাদেশী বর্ষীয়ান অভিনেতা

 ফরিদ আলী ছিলেন একজন বাংলাদেশী বর্ষীয়ান অভিনেতা।  তার জন্ম ১৯৪৫ সালের ৭ এপ্রিল, ঢাকায়। ১৯৫৬ সালে এস.এস.সি পরীক্ষা দেবার কথা থাকলেও তা আর শেষ পর্যন্ত দেয়া হয়নি। ১৯৬২ সালে শহীদুল আমীনের লেখা "কনে দেখা" নাটকে অভিনয় দিয়ে তার অভিনয়যাত্রা শুরু হয়। পরে ১৯৬৪ সালে মুনীর চৌধুরী রচিত একতালা দুতলা টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেন। তার লেখা প্রথম টেলিভিশন নাটক নবজন্ম। ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ধারাপাত ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে ফরিদ আলীর চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। ফরিদ আলী দীর্ঘদিন ফুসফুস, হৃদযন্ত্রসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগে ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ঢাকার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এ মৃত্যুবরণ করেন। আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী। আজকের এই দিনে তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

সূরা ফালাক ও সূরা নাস উভয় সূরার নামকরণ

  সূরা ফালাক ও সূরা নাস উভয় সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত শব্দ থেকে। ফালাক (الفلق) শব্দের অর্থ : প্রভাতকাল। আর নাস (النَّاس) অর্থ : মানুষ। এ দুই সূরাকে একত্রে معوذتان বা আশ্রয় প্রার্থনা করার দুই সূরা বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জাদুগ্রস্থ হওয়ার পর এ সূরাদ্বয় দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হলে আল্লাহ তা‘আলার রহমতে তিনি সুস্থ হন, তাই এ নামেও এ সূরাদ্বয় পরিচিত।

সূরা ফাতেহার তাফসির

 সূরা ফাতেহার তাফসির   أَعُوْذُ بِاللّٰهِ (আঊযুবিল্লাহ)-এর প্রাসঙ্গিক আলোচনা কুমন্ত্রণাদানকারী শয়তান হতে মহান আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাওয়া প্রতিটি মু’মিন-মুসলিমের একান্ত কর্তব্য। কারণ আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর হতে শয়তান মানুষের অনিষ্ট করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন: (لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيْمَ) (শয়তান বলল:) “আমি (বানী আদমকে বিভ্রান্ত করার জন্য) আপনার সরল পথে অবশ্যই বসে থাকব।”(সূরা আ‘রাফ ৭:১৬) তাই শয়তানের অনিষ্ট থেকে বেঁচে থাকার জন্য الاستعاذة বা আঊযুবিল্লাহ পাঠ করার গুরুত্ব অপরিসীম। আঊযুবিল্লাহ পাঠ: আল্লাহ তা‘আলা বলেন: (وَقُلْ رَّبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزٰتِ الشَّيٰطِيْنِ وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَّحْضُرُوْنِ) ‏ “বল:‎ হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি সকল শয়তানের প্ররোচনা হতে, আর হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিতি হতে।”(সূরা মু’মিনুন ২৩:৯৭-৯৮) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন: (وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطٰنِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ...

ফিরে_আসা ” লেখিকা:Umma Hurayra Jahan পর্ব:১

ফিরে_আসা ” লেখিকা:Umma Hurayra Jahan পর্ব:১ ফাতেমা :মা আমি আসছি । কলেজের জন্য দেরি হয়ে গেলো ।হে আল্লাহ আজ কলেজের প্রথম দিন আর আজি দেরি হয়ে যাচ্ছে!! কি যে করি? ??মা গেলাম আমি । আল্লাহ হাফেজ মা: আরে শোন পাগল মেয়ের কথা না খেয়ে চলে যাবি???? একটু দাড়া খাবার খেয়ে যা । ফাতেমা : না মা সময় নেই মা: চুপ করে দাড়া আমি খাইয়ে দিচ্ছি। ফাতেমা : তোমার সাথে আর পারা যায় না গো মা জননি। আচ্ছা দাও খাইয়ে দাও । কিন্তু একটু খাবো কিন্তু !!! মা: আচ্ছা ঠিক আছে পাগলি আমার। মা বাবার এক মাত্র মেয়ে ফাতেমা । তার একটি বড় ভাই আছে । সব মিলিয়ে সুখি পরিবার । ফাতেমার রুপ আর গুণের বর্ণনা করা ভার । যে রকম রুপবতী সেইরকম গুণবতীও সে ।  কিন্তু তার রুপ আজ পর্যন্ত কোন পরপুরুষ দেখতে পায়নি  কারন সে পরিপুর্ন পর্দা করে ।  তার পরিবারের সবাই এতোটা ধার্মিক না হলেও তাকে দেখে মনে হয় না যে সে কোন ধার্মিক পরিবারের মেয়ে না । আজ ফাতেমার কলেজে প্রথম দিন । সে জেনারেল লাইনে পড়লেও তার চালচলন দেখে মনে হয় কোন মাদরাসার ছাত্রী সে । এইবার ssc পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠেছে সে ফাতেমা : মা গেলাম আমি ।  আল্লাহ হাফেজ মা: সাবধানে যা ফাতেমা : এই য...

প্রচলিত জাতীয়তাবাদ ইসলাম বিরোধী

 প্রচলিত জাতীয়তাবাদ ইসলাম বিরোধী এ প্রসঙ্গে কুরআনে কারীমের বিভিন্ন আয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে, মানব জাতি ভ্রাতৃত্ব বন্ধনকে ছিন্ন করে দু’টি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়েছে, যথা-মু‘মিন ও কাফির। اِهْدِ نَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَ ﴿۵﴾ صِرَاطَ الَّذِیْنَ اَنْعَمْتَ عَلَیْهِمْ ۬ۙ۬ غَیْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَیْهِمْ وَلَا الضَّآ لِّیْنَ অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদেরকে সরল পথ দেখান, ঐ সকল লোকদের পথ যাদেরকে আপনি নিয়ামত দান করেছেন। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আপনার গজব নাযিল হয়েছে। এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে। [সূত্র: সূরা ফাতিহা, আয়াত- ৫,৬,৭]  অন্যত্র ইরশাদ করেন- وَقُلِ الْحَقُّ مِنْ رَّبِّكُمْ فَمَنْ شَآءَ فَلْیُؤْمِنْ وَّ مَنْ شَآءَ فَلْیَكْفُرْ অর্থ : বলুন, সত্য আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে আগত! অতএব যার ইচ্ছা ইমান আনুক এবং যার ইচ্ছা কুফরী করুক। [সূত্র: সূরা কাহাফ, আয়াত- ২৯] هُوَ الَّذِیْ خَلَقَكُمْ فَمِنْكُمْ کَافِرٌ وَّ مِنْكُمْ مُّؤْمِنٌ  অর্থ: আল্লাহ তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তোমাদের মধ্যে কেউ কাফির কেউ মু‘মিন। (সূরা তাগাবুন,২) মূলত : সমগ্র আদম সন্তান পরস্পরে ভাই ভাই এবং সমগ্র পৃথিবীর মানবক...

গণতন্ত্রের কুফরী দিকসমূহ

 গণতন্ত্রের কুফরী দিকসমূহ মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন- وَ اِنْ تُطِعْ اَكْثَرَ مَنْ فِی الْاَرْضِ یُضِلُّوْکَ عَنْ سَبِیْلِ اللهِ ؕ اِنْ یَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَ اِنْ هُمْ اِلَّا یَخْرُصُوْنَ “আপনি যদি পৃথিবীর অধিকাংশের কথা মেনে চলেন, তাহলে তারা আপনাকে আল্লাহর পথ থেকে বিপথগামী করে দিবে। তারা শুধু অলীক-কল্পনার অনুসরণ করে সম্পূর্ণ অনুমানভিত্তিক বলে থাকে” [সূত্র: সূরা আন‘আম, আয়াত-১১৬] কুরআন কারীমে এমন অনেক গুলো আয়াত রয়েছে, যে সব দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইসলাম প্রচলিত পশ্চিমা গণতন্ত্র সমর্থন করে না। এর সামান্য পূর্বেও উল্লেখ করা হয়েছে পাশ্চাত্য গণতন্ত্র ও ইসলাম সম্পূর্ণ একে অপরের বিপরীত ।গণতন্ত্র স্বীকার করলে, কুরআনকে পূর্ণভাবে মানা সম্ভব নয়। আর কুরআনকে পূর্ণভাবে মানলে প্রচলিত গণতন্ত্র স্বীকার করার কোন অবকাশ নেই। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা ঘোষণা করেছেন যে, তিনি যে মানব জাতিকে সৃষ্টি করেছেন, তার মধ্যে সর্বযুগে জ্ঞানী, গুণী, বিদ্বান ও বিচক্ষণ লোকের সংখ্যা কম রেখেছেন। নির্বোধ, অবুঝ ও কম বুদ্ধির লোক বেশী রেখেছেন। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন যে, “অধিকাংশ মানুষই মূর্খ”। [সূত্র: সূরা ...