Skip to main content

ফিরে_আসা ” লেখিকা:Umma Hurayra Jahan পর্ব:১



ফিরে_আসা ”

লেখিকা:Umma Hurayra Jahan

পর্ব:১


ফাতেমা :মা আমি আসছি । কলেজের জন্য দেরি হয়ে গেলো ।হে আল্লাহ আজ কলেজের প্রথম দিন আর আজি দেরি হয়ে যাচ্ছে!!

কি যে করি? ??মা গেলাম আমি । আল্লাহ হাফেজ


মা: আরে শোন পাগল মেয়ের কথা না খেয়ে চলে যাবি????

একটু দাড়া খাবার খেয়ে যা ।


ফাতেমা : না মা সময় নেই


মা: চুপ করে দাড়া আমি খাইয়ে দিচ্ছি।


ফাতেমা : তোমার সাথে আর পারা যায় না গো মা জননি। আচ্ছা দাও খাইয়ে দাও । কিন্তু একটু খাবো কিন্তু !!!


মা: আচ্ছা ঠিক আছে পাগলি আমার।


মা বাবার এক মাত্র মেয়ে ফাতেমা । তার একটি বড় ভাই আছে । সব মিলিয়ে সুখি পরিবার ।

ফাতেমার রুপ আর গুণের বর্ণনা করা ভার । যে রকম রুপবতী সেইরকম গুণবতীও সে । 

কিন্তু তার রুপ আজ পর্যন্ত কোন পরপুরুষ দেখতে পায়নি 

কারন সে পরিপুর্ন পর্দা করে । 

তার পরিবারের সবাই এতোটা ধার্মিক না হলেও তাকে দেখে মনে হয় না যে সে কোন ধার্মিক পরিবারের মেয়ে না ।


আজ ফাতেমার কলেজে প্রথম দিন । সে জেনারেল লাইনে পড়লেও তার চালচলন দেখে মনে হয় কোন মাদরাসার ছাত্রী সে । এইবার ssc পরীক্ষা দিয়ে কলেজে উঠেছে সে


ফাতেমা : মা গেলাম আমি । 

আল্লাহ হাফেজ


মা: সাবধানে যা


ফাতেমা : এই যে মামা [রিকশাওয়ালা] যাবেন??


রিকশাওয়ালা : কই যাবেন চাচি???


ফাতেমা : চাচি???? [মনে মনে বলছে আর হাসছে!!] মামা আমি কলেজ রোড যাবো যাবেন ???


রিকশাওয়ালা মামা ফাতেমা কে চাচি বলার কারন ,ফাতেমা কালো বোরকা, বড় হিজাব ,হাত মোজা পা মোজা পরিহিতা ছিলো


রিকশাওয়ালা: যামু চাচি । আসেন ।

ফাতেমা যখন রিকশায় ওঠার জন্য রাস্তার ওপারে যাচ্ছিলো তখনি একটা বড় গাড়ি এসে তাকে ধাক্কা মারার মতো অবস্থা । আরেকটু হলেই গাড়ির নিচে চাপা পড়তো ফাতেমা ।


ফাতেমা : আলহামদুলিল্লাহ ।হে আল্লাহ তোমার কাছে লাখো শুকরিয়া । ভাগ্যিস আয়তুল কুরসি পড়ে বের হয়েছিলাম।


মাহিন:এই যে চাচি মরার জন্য কি আর জায়গা পান না নাকি ??

আমার গাড়ির নিচেই আসতে হলো? ??


ফাতেমা :চাচি হাহাহিহিহি [মনে মনে হসছে আর বলছে তাহলে আমার পর্দা মনে হয় পরিপুর্ন করেই করা হয় । কেউ বয়স বুঝতে পারে না হিহিহিহি] এই যে জনাব আমি আপনার গাড়ির নিচে আসিনি ।বরং আপনি বেশি জোরে বেপরোয়া হয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন


ফাতেমার কন্ঠ শুনে মাহিন বুঝতে পারলো ফাতেমা আর যাই হোক ওর চাচির বয়সি হবে না!


মাহিন: আর কথা বলবেন না । এমনিতেই মেজাজটা গরম আছে। আমার গাড়ির সামনে থেকে যান। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে ।


ফাতেমা :মনে রাখবেন আল্লাহ রাগী ও বদমেজাজি পছন্দ করেন না ।


মাহিন : [রাগি স্বরে] আমাকে ঞ্জান দিতে আসবেন না । সরুন এখান থেকে । যত্তসব


বড়লোক বাবা মায়ের বদমেজাজি রাগি ও আধুনিক ছেলে মাহিন । ছোট বেলা থেকে কোন দ্বীনি শিক্ষা না পাওয়ায় আজ এ অবস্থা । অপর দিকে বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান সে ।একটা ছোট বোন আছে । তার নাম মহিমা ।


এর পর মাহিন সেখান থেকে চলে গেলো তার গন্তব্যে আর ফাতেমা চলে আসলো কলেজে ।


হেন্সি: কিরে ফাতেমা এতো দেরি করলি কেন রে । আজ কলেজের প্রথম দিন আর আজি তুই দেরি করলি? ???

ফাতেমার একমাত্র বেস্ট বান্ধবী হেন্সি । হেন্সি নামটা অদ্ভূত তাই না??? কারন সেও একসময় কম আধুনিক ছিলো না । ফাতেমার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার পর সেও হেদায়েতের ছায়া তলে আসতে শুরু করেছে আলহামদুলিল্লাহ।


ফাতেমা : আরে আর বলিস না, মা না খাইয়ে ছাড়তেই চাচ্ছিলো না । তো এখানেই দেরি হয়ে গেছে । আর রাস্তায় ………


হেন্সি : রাস্তায় কি?????


ফাতেমা : বাদ দে ।


হেন্সি : আরে বল না???


ফাতেমা : আরেকটু হলেই একটি ছেলের গাড়ির নিচে চাপা পড়তাম। আল্লাহর রহমতে বেচেঁ গেছি


হেন্সি : ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সত্যি????


ফাতেমা : বাহ্ হেন্সি তোর তো দেখি ভালোই উন্নতি হয়েছে !!!


হেন্সি: তুই তো শিখিয়েছিস যে কোন দু:সংবাদ শুনলে এটা বলতে হয় ।


ফাতেমা : তোর. দিন দিন উন্নতি দেখে মন ভরে যায় রে! !


হেন্সি : হুম...এতোদিন আমি অন্ধকারে দিলাম। তর জন্যই তো আলোর পথে আসতে পেরেছি রে । 

ফাতেমা : আমি তো কিছুই করি নি সব আল্লাহর ইচ্ছা । আমি তো উছিলা মাত্র।


ফাতেমা আর হেন্সি যখন কথা বলছিলো তখন ক্লাসের সবাই ফাতেমার দিকে বার বার দেখছিলো আর ওর পোষাক নিয়ে সবাই বলাবলি করছিলো । 

একটি মেয়ে তো তার বন্ধুদেরকে বলছিলো দেখ দেখ ক্ষেত একটা । কিসব পড়েছে । আজকালকার দিনে এই সব কেউ পরে নাকি । ভূতের মতো লাগছে । হাহাহিহাহাহা


হেন্সি: [কথাগুলো শুনে ] দাড়া দেখাচ্ছি মজা


ফাতেমা : আরে আরে কি করছিস দাড়া দাড়া । শান্ত হয়ে বস এখানে । এগুলো শুনতে শুনতে আমার অভ্যাস হয়ে গেছে । আমার এগুলো শুনে খারাপ লাগে না । বরং ভালোই লাগে


হেন্সি: তুই কি রে....???? এগুলো শুনেও বলছিস ভালো লাগে । হে আল্লাহ


ফাতেমা নিকাবের আড়ালে আস্তে করে হাসতে থাকে 

ফাতেমা : শোন সময় হোক ওরাও একসময় পর্দার গুরুত্ব বুঝতে পারবে । আমিই ওদেরকে বুঝাবো যেভাবে তোকে বুঝিয়েছি


এর মধ্যেই একজন স্যার ক্লাসে ঢুকলো । সবাই স্যারকে সালাম দিলো । স্যার সবাইকে বসতে বললো ।

ফাতেমা আর হেন্সি সামনের সিটে বসায় স্যারের নজর গিয়ে ঠেকলো ফাতেমার দিকে


স্যার:এই মেয়ে দাড়াও । কি নাম তোমার???


ফাতেমা : আসসালামুআলাইকুম স্যার । আমার নাম জান্নাতুল ফেরদৌস ফাতেমা।


ফাতেমা !!!!! ইয়াক কি গাইয়্যা নাম । সাথে সাথে বলে উঠলো ক্লাসের সবচেয়ে মর্ডান মেয়েটি । যার নাম রিয়া


রিয়া বড়লোকের মেয়ে এবং অতি আধুনিক 

রিয়ার কথা শুনে সবাই হেসে উঠলো । হাহাহাহিহাহাহাহ


থামো সবাই!!! স্যার সবাইকে চুপ করতে বললেন


স্যার: মাশাল্লাহ অনেক সুন্দর নাম মা । তা মা এতো গরমের মধ্যে এরকম পোষাক পরেছো তোমার গরম লাগে না মা? ????


স্যারটি ফাতেমার বাবার বয়সি হবে তাই তিনি ফাতেমাকে মা বলে ডাকলেন ও সম্মান দিলেন তাকে দেখে


ফাতেমা : জ্বি স্যার গরম তো একটু লাগেই কিন্তু…………


 পর্ব:০২

 

 ফাতেমা :গরম তো একটু লাগেই কিন্তু ,স্যার এই দুনিয়ার এই

 সামান্য গরম যদি সহ্য করতে না পারি তাহলে জাহান্নামের আগুন সহ্য কি করে??? স্যার পর্দা তো প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর জন্য ফরজ বিধান । আল্লাহ আমাদের জন্য এটা ফরজ করে দিয়েছে । 

 কি করে একজন মুসলিম হয়ে আল্লাহর বিধান অমান্য করি????

 

 স্যার: মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর কথা বলেছো মা ।

 

 ফাতেমা : জাযাকাল্লাহু খয়রান স্যার।

 

 স্যার : এর মানে কি মা?

 

 ফাতেমা : এর মানে আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুক

 

 স্যার : ও আচ্ছা । এখন আমাকে এর জবাবে কি বলতে হবে? ??

 

 ফাতেমা : আপনি বলবেন ওয়া ইয়্যাকি । এর মানে আপনাকেও আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুক

 

 স্যার : ওয়া ইয়্যাকি

 

 ক্লাসের বাকিরা স্যার আর ফাতেমার কথা অবাক হয়ে শুনছিলো

 

 আজ কলেজের ১ম দিনটা ফাতেমার বেশ অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাথে কেটেছে

 

 ফাতেমা : আসসালামুআলাইকুম মা । এসে পরেছি

 

 খদিজা বেগম: ওয়াআলাইকুমুসসালাম । কেমন ছিলো রে মা আজ কলেজের ১ম দিন টা ।??

 

 ফাতেমা : মা আজ দারুন অভিজ্ঞতা হয়েছে

 

 খাদিজা বেগম: তাই নাকি ??? কি হলো শুনি???

 

 ফাতেমা : মা জানো আজ না.......

 

 রফিক : কি কথা হচ্ছে মা বেটিতে হুম????

 

 ফাতেমা : আসসালামুআলাইকুম আব্বু । কখন এলে????

 

 রফিক সাহেব : এই তো রে মা এইমাত্রই। তা মা বেটিতে কি কথা হচ্ছে শুনি???

 

 খাদিজা বেগম: আর কি হবে, ঐ তো আজ তোমার মেয়ে কলেজে কি কি করেছে সেটাই আরকি।

 

 রফিক সাহেব : ও আচ্ছা । 

 শুন ফাতেমার মা আজ সন্ধায় আমার ছোট বেলার বন্ধু আরমান আসবে । 

 অনেক দিন পর ওর সাথে দেখা হবে । তুমি নাস্তা রেডি রেখো । আর রাতের খাবারের ভালোমন্দ আয়োজন করো । যাতে কোন কমতি না থাকে

 

 খাদিজা বেগম : আচ্ছা ঠিক আছে তুমি চিন্তা করো না ।আমি সব রেডি রাখবো

 

 ফাতেমা : বাবা আমি কিন্তু তোমার বন্ধুর সামনে যেতে পারবো না???

 

 রফিক সাহেব: কেন রে কি সমস্যার???ও এতো দিন পরে আসবে আর তুই ওর সামনে যাবি না? ???কি ভাববে ও বলতো? ?

 

 ফাতেমা : বাবা তুমি কি ভুলে গেছো ইসলামে গায়রেরমাহারাম দের সামনে বেপর্দা হয়ে যাওয়া নিষেধ।আর ওনি তো আমার গায়রে মাহারাম । আমি বেপর্দা হয়ে যেতে পারবো না ।

 

 রফিক সাহেব :আমি কোন কথা শুনতে চাই না । আমি ডাকলে তুমি আসবে বেছ

 

 ফাতেমা : বুঝার চেষ্টা করো বাবা

 

 রফিক সাহেব: ফাতেমা তুই কিন্তু দিন দিন বেশি করছিস। এই বয়সে কিসের পর্দা????

 

 ফাতেমা : বাবা পর্দাটা হলো ফরজ ইবাদত। আর এর কোন বয়স হয় না । আর যৌবন কালের ইবাদত আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় । আমি তো তোমাকে এর আগেও অনেক বুঝিয়েছি

 

 রফিক সাহেব : আমাকে হাদিস শুনাতে আসিস না ।আমি তোর থেকে কম জানি না । যা, কলেজ থেকে এসেছিস ফ্রেস হয়ে নে

 

 ফাতেমা : আচ্ছা ঠিক আছে বাবা ।

 

 এই বলে ফাতেমা নিজের রুমে চলে গেল

 

 রফিক সাহেব :মেয়েটা দিন দিন বড্ড বার বেরে যাচ্ছে । কে ডুকাচ্ছে এসব ওর মাথায়

 

 ফাতেমা গোসল করে যোহরের নামায আদায় করতে বসেছে

 

 ফাতেমা : {মোনাজাতের সময় } হে আল্লাহ তুমি আমার পরিবারের সদস্যদেরকে হেদায়েত দান করো । তারা অবুঝ,তাদেরকে তুমি বুঝ দান করো আমিন

 

 হাসান : নক নক. .... আসসালামুআলাইকুম কিরে ফাতেমা ভিতরে আসবো ???

 

 ফাতেমা : আরে ভাইয়া !! ভিতরে এসো । বাহ ভাইয়া যেটা শিখিয়েছিলাম তা দেখছি তোর মনে আছে । মুচকি হাসে ফাতেমা

 

 হাসান: হুম রে পুচকি আমার মনে আছে । তুই বলেছিলি কারো ঘরে প্রবেশ করার আগে সালাম দিতে হবে আর অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে হবে ।

 

 ফাতেমা :হুম । আচ্ছা ভাইয়া যোহরের নামাযটা পড়েছো???

 

 হাসান: {কিছুটা সংকুচ নিয়ে} না রে পুচকি পড়ি নি।

 

 ফাতেমা : কেন ভাইয়া ???তুমি কি চাও না আমরা সবাই এক সাথে জান্নাতে থাকি ???তুমি কি চাও জাহান্নামে যেতে???বাবা কে কত বার বলেছি ,“বাবা এতো দিন যা করেছো ,করেছো .এখনো সময় আছে রবের নিকট তওবা করে ক্ষমা চেয়ে তার ইবাদত করো । কিন্তু না বাবা করবো করবো বলে পরে আবার ভুলে যায়

 

 ভাই তোমাকেও তো কত বুঝিয়েছি

 

 হাসান : সরি রে পুচকি । আর ভুল হবে না । এই কান ধরছি । কাল থেকে নামায পড়বো ।

 

 ফাতেমা : কাল থেকে কেন ??? এখনো যোহর এর সময় আছে ।যাও যোহর এর নামায টা ঘরে পড়ে ফেলো । কিন্তু আসর এর থেকে বাকি নামায মসজিদে গিয়ে পড়বে কিন্তু বলে দিলাম

 

 হাসান : মসজিদে কেন ঘরে পড়লে কি হয়?

 

 ফাতেমা:একা ঘরে নামায পড়ার থেকে মসজিদে জামাতের সাথে নামায পড়লে ২৭ গুন সওয়াব পাবে

 

 হাসান : আচ্ছা ঠিক আছে পুচকি

 

 ফাতেমার বাবা রফিক সাহেব ফাতেমার পর্দা করা বিভিন্ন হাদিস বর্ননা করা এগুলো পছন্দ করেন না । তাই তিনি ফাতেমার অনেক ইসলামিক কাজে বাধা হয়ে দাড়ান অনেক সময়

 

 সন্ধার সময় ফাতেমা নামায পড়ে কোরআন পড়ছিলো । ফাতেমার কুরআন তেলাওয়া অসাধারন । যেমন তার রুপ তেমন তার মধুর কন্ঠের তেলাওয়াত ।


সন্ধায় আরমান সাহেব ফাতেমাদের বাসায় আসেন । ফাতেমাদের বাসা ময়মনসিংহে । আর আরমান সাহেবের বাড়ি ঢাকা।

 

 কলিং বেলের শব্দের দরজা খুললো বাসার কাজের মেয়ে রহিমা

 

 রহিমা : আসসালামুআলাইকুম । আপনে কারে চান ???

 

 আরমান সাহেব: আমি আরমান চৌধুরি । রফিক সাহেব কোথায় । ও কি বাসায় আছে? ??

 

 রহিমা : ও আপনে । আসেন আসেন ভেতরে আসেন । খালু আমারে আগেই কইয়া দিছিলো আপনি আইবেন । আসেন ভেতরে আসেন

 আপনি ড্রয়িং রুমে বসেন আমি খালুরে ডাকতাছি

 

 আরমান সাহেব: ড্রিয়ং রুমে বসে মনে মনে বলেছেন বাহ্ রফিক তো বাসা খুব সুন্দর করে বানিয়েছে । কি সুন্দর গোছানো গাছানো

 

 রফিক সাহেব:আরে দুস্ত । কেমন আছিস??? কত দিন পর তোর সাথে দেখা । তোর ছেলে মেয়ে কেমন আছে??? ভাবি কেমন আছে????

 

 আরমান : আলহামদুলিল্লাহ সবাই ৃভালো আছে । তুই কেমন আছিস ?? বাকিরা কই? ?

 

 রফিক সাহেব : কই. হাসানের মা কই তুমি ??দেখো কে এসেছে ??

 বাবা হাসান দেখ কে এসেছে ??

 

 খাদিজা বেগম : আরে আরমান ভাই যে । আসসালামুআলাইকুম । কেমন আছেন???

 

 আরমান সাহেব : জি আছি ভালো । এই যে বাবা হাসান কেমন আছো? কাজ কেমন চলছে তোমার

 

 হাসান: জ্বি চাচা ভালোই চলছে

 

 আরমান সাহেব : কিরে রহমান সবাই তো এখানে but তোর মেয়ে কই? ??তাকে তো দেখছি না ।

 

 রফিক সাহেব : ইয়ে মানে ও আছে ওর ঘরেই .তুই আগে বোস আরাম কর ওকে আমি ডেকে দিচ্ছি ।

 

 রফিক সাহেব খাদিজা বেগমকে বলছেন :: তোমার মেয়েকে না বলেছি আরমান আসলে ওর সাথে দেখা করে যেতে???কই সেই মহারানী???

 

 খাদিজা বেগম:: আহা্ তুমি তো জানো ওকে ও কি রকম ।ও তো আরমান ভাইয়ের সামনে আসবে না ।

 

 রফিক সাহেব : যাও ওকে ডেকে দাও

 

 খাদিজা বেগম::

 আচ্ছা। আরমান ভাই আপনি ফ্রেস হয়ে নিন আমি নাস্তা দিচ্ছি

 

 আরমান সাহেব :

 আরে ভাবি ব্যাস্ত হবেন না । এতো দিন পর বন্ধুর সাথে দেখা ,আগে তো প্রান ভরে কথা বলে নিই । হাহহা

Comments

Popular posts from this blog

বেলা ফুরাবার আগে by আরিফ আজাদ বই pdf

বেলা ফুরাবার আগে by আরিফ আজাদ বই pdf.  এই বইটি ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে Click করেন। ডাউনলোড লিংক   

সূরা ফালাকের তাফসীর

 সূরা ফালাকের তাফসীরঃ নামকরণ: সূরা ফালাক ও সূরা নাস উভয় সূরার নামকরণ করা হয়েছে সূরার প্রথম আয়াতে উল্লিখিত শব্দ থেকে। ফালাক (الفلق) শব্দের অর্থ : প্রভাতকাল। আর নাস (النَّاس) অর্থ : মানুষ। এ দুই সূরাকে একত্রে معوذتان বা আশ্রয় প্রার্থনা করার দুই সূরা বলা হয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) জাদুগ্রস্থ হওয়ার পর এ সূরাদ্বয় দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা হলে আল্লাহ তা‘আলার রহমতে তিনি সুস্থ হন, তাই এ নামেও এ সূরাদ্বয় পরিচিত। শানে নুযূল: মা আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, মদীনার ইয়াহূদী গোত্র বনু যুরাইকের মিত্র লাবীদ বিন আসাম নামক জনৈক মুনাফিক তার মেয়েকে দিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর মাথার ছিন্নচুল ও চিরুনীর ছিন্ন দাঁত চুরি করে এনে তাতে জাদু করে এবং মন্ত্র পাঠ করে চুলে ১১টি গিরা দেয়। এর প্রভাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কোন কাজ করলে ভুলে যেতেন ও ভাবতেন যে করেননি। অন্য বর্ণনা মতে ৪০ দিন বা ৬ মাস এভাবে থাকেন। এক রাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বপ্নে দেখেন যে, দু’জন লোক এসে একজন তাঁর মাথার কাছে অন্যজন পায়ের কাছে বসে। অতঃপর তারা বলে যে, বনু যুরাইকের খেজুর বাগানে যারওয়ান কূয়ার তলদেশে পাথরের নীচে চাপা দেয়া খেজুরের কাঁদির শুকনো খোস...

এহইয়াউস সিনান বই by ড. খোন্দকার আ.ন.ম. আব্দল্লাহ জাহাঙ্গীর

 এহইয়াউস সিনান বই by ড. খোন্দকার আ.ন.ম. আব্দল্লাহ জাহাঙ্গীর  এই বইটি  pdf ডাউনলোড লিংক